ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন শ্রীলঙ্কায়। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অপ্রত্যাশিত এ পরিস্থিতি সামলাতে ৩ লাখ ডলার বাজেটের ঘোষণা দিয়েছে রেডক্রস।
শ্রীলঙ্কার রেডক্রস সোসাইটি, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, তারা দেশটিতে জরুরি সহায়তা দিচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে তারা জানায়, হাসপাতালগুলোতে প্রচুর ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তাদের সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে এ রোগের প্রকোপ সবচে’ বেশি।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯৬ জনের।
গেলো বছরের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এজন্য আবহাওয়াকে দায়ী করেন। তারা বলেন, অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ডেঙ্গু মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তায় ও গর্তে পানি জমে থাকার কারণে এডিস মশা তাদের বংশ বিস্তার করছে।
রেডক্রস জানায়, পরিচ্ছন্নতার অভাবে এ সমস্যা আরো বাড়তে পারে। রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে ব্যাপক হারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু এখন দ্রুততম গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বের ১০০টি দেশের ৩৯ কোটিরও বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত।
প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় যোগ্য। কিন্তু চিকিৎসার অভাবে এ রোগে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা থাকে বিশেষ করে শিশুদের।
শ্রীলঙ্কা রেডক্রসের প্রধান নোভিল উইজেসেকারা জানান, এখানে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবার কারণে এ রোগ এখন এত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এ পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ রয়েছে এবং কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী মশার প্রজনন ক্ষেত্র খুঁজতে সরকারি বাহিনীকে সাহায্য করছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সব স্কুলই আমরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে মশার প্রজনন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় এরইমধ্যে সেনা পাঠিয়েছে দেশটির সরকার। গেলো সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া ডেঙ্গু মোকালে ১২ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিল।
এপি/সি